বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬ অপরাহ্ন
রাসেল মোল্লা কলাপাড়াঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ ও ভোট চাওয়ায় পদ হারিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ জিহাদী।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) প্রেরিত আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি স্বাক্ষরিত এক অব্যাহতিপত্রের মাধ্যমে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। এর আগে গত ৪ জুন কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি জবাব প্রদানে ব্যর্থ হন। পরে জেলা কমিটি তাকে জয়েন্ট সেক্রেটারির পদসহ আন্দোলনের সকল পদপদবি থেকে অব্যাহতি প্রদান করে।
অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ জিহাদী ইসলামী আন্দোলনের পটুয়াখালী জেলা শাখার ২০২৩-২৪ সেশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি ও আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও সদ্য অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের আমীর পীর সাহেব চরমোনাই’র কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া দলীয় ও অন্যান্য জনগণকে নির্দিষ্ট প্রার্থীকে ভোট প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন। বিষয়টি অবগত হলে জেলা কমিটি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তার জবাবে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নেন এবং সন্তোষজনক জবাব প্রদানে ব্যর্থ হন।
আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তার ভোট চাওয়ার ও প্রচারণার অডিওসহ তথ্য প্রমাণ রয়েছে জেলা কমিটির কাছে। তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে দলকে বিতর্কিত তথা দলের আমীরকে হেয় প্রতিপন্ন করায় দলীয় নীতিমালার ৩২ ধারার আলোকে তাকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
নির্বাচনে প্রচারণা ও ভোট চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ জিহাদী বিষয়টি স্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, ‘এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে জনগণকে নির্দিষ্ট একজন প্রার্থীকে ভোট দিতে বলেছি। তবে অব্যাহতির বিষয়ে আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।’
এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের পটুয়াখালী জেলা সেক্রেটারি মাওলানা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে নির্বাচনে প্রচারণা ও ভোট চাওয়ার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ জিহাদী গত বছরের ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং এতদিন জেলা আন্দোলনের জয়েন্ট সেক্রেটারির দায়িত্বে ছিলেন।